রাঙ্গুনিয়ায় টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ জনসাধারণ। উপজেলার বিভিন্ন নিচু এলাকা, বাজার, রাস্তা-ঘাট ভরে গেছে বৃষ্টির পানিতে। ড্রেনেজ ব্যবস্থায় ত্র“টিজনিত কারণে এমণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
উপজেলার পদুয়া ইউনিয়ন থেকে নজরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক যুবক জানান, টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পদুয়ার বিভিন্ন নিচু এলাকার মতো ডুবে গেছে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গন। অতিরিক্ত পানি প্রবেশ করেছে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কক্ষে। আর এতে বন্ধ হয়ে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম। গত ১ সপ্তাহ ধরে এমন পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে পড়েছে সেবা প্রত্যাশি সাধারণ জনগন। পানি নিস্কাশনের জন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে এই অবস্থা নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান পদুয়া ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম কবির তালুকদার।
এদিকে বৃষ্টির পানিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের দুই পাশের পাহাড়ি বালি ও মাটি নেমে এসেছে সড়কে। এতে জল-কাদায় হাটু সমান কাদায় ভরে গেছে পুরা সড়ক। এমন পরিস্তিতিতে ভোগান্তিতে পড়েছে সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহনের চালকদের পাশাপাশি হাজার হাজার জনসাধারণ। সড়কের উপর জমে থাকা কাদায় আটকে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়া, সড়কের বিভিন্ন ছোট-বড় গর্ত বৃষ্টির পানিতে ভরে যাওয়ায় গাড়ি খাঁদে পড়ে ভোগান্তি, রাস্তাতে জমে থাকা পানি ছিটকে পথচারীদের গায়ে পড়ার দৃশ্য এখন নিয়মিত। পানি অপসারণের জন্য সড়কের দুই পাশে নির্মিত ড্রেন ভরাট হয়ে বৃষ্টির পানি সড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। ড্রেন ভরাট হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের তদারকির অভাব ও সড়কের পাশের অনেক দোকান ও স্থাপনার বাড়তি অংশ ড্রেন ভরাট করে নির্মাণকেই দায়ি করছেন সাধারণ জনসাধারণ।
এই সড়কের সিএনজি অটোরিক্সা চালক সুনিল বড়–য়া জানান, ‘একদিকে চট্টগ্রাম ওয়াসার খোঁড়াখুড়ি অন্যদিকে বৃষ্টির পানিতে সড়কের উপর জমে যাওয়া কাদা, দুয়ে মিলে গাড়ি চালাতে চরম বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। প্রতিবার বৃষ্টিতে এই অবস্থার সৃষ্টি হলেও দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর কোন অগ্রগতি দেখা যায় না।’ তিনি সড়কের এই বেহাল অবস্থা থেকে বাঁচতে স্থায়ী সমাধান দাবি করেন।
এভাবে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন বাজার, রাস্তা-ঘাট, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা টানা বৃষ্টির পানিতে ডুবে চরম বেকায়দায় দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ জনসাধারন। প্রতিবার বৃষ্টিতে এই অচল অবস্থার সৃষ্টি হলেও সংশ্লিষ্টরা সামান্য লোক দেখানো কাজ দেখিয়ে দায়িত্ব সারেন বলে অভিযোগ জনসাধারণের। ভোগান্তি পড়া জনসাধারন উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জলমগ্নতা রুধে স্থায়ী সমাধান দাবি করেন।